বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে অস্থিরতার মাঝেই সম্প্রতি ফের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে দিনভর সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মূলত সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বারবার। বিএসএফকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি। এমন অবস্থায় সীমান্ত নিয়ে সরব হয়েছেন দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সীমান্তে শান্তিরক্ষায় তিনি বিএসএফকে ‘দায়িত্ব নিতে’ বলেছেন। একইসঙ্গে কারও প্ররোচনায় পা না দিতেও স্থানীয়দের সতর্ক করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
সোমবার মুর্শিদাবাদে মমতা বলেন, “মুর্শিদাবাদের ওপারে সীমান্ত রয়েছে। সেই সীমান্ত বিএসএফ দেখুক। আমাদের ওপর অত্যাচার হলে আমরা দেখব। দয়া করে কারও প্ররোচনায় পা দিয়ে ওদিকে যাবেন না। কারণ অনেকের উদ্দেশ্য হলো- দাঙ্গা লাগিয়ে, দুই দেশের মধ্যে গন্ডগোল বাঁধিয়ে সরে পড়া। আমি চাই সীমান্তে বিএসফ দায়িত্ব নিক, যাতে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়। আমি লোকাল পুলিশকে বলব, তারা যেন মাইকিং করে সবাইকে ফিরে আসতে বলেন। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।”
গত ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভারতীয়রাই প্রথমে বাংলাদেশিদের ওপর চড়াও হয় এবং ওই উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী– বিএসএফ একপ্রকার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
এই ঘটনার পর বাংলাদেশ সীমান্তের অপর পাশে ভারতীয় অংশে মালদার সুকদেবপুরে এখনও পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে। গ্রামবাসীদের সীমান্তের দিকে যাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএসএফের ১১৯ নং ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা টানা টহল দিয়ে চলেছেন সীমান্ত এলাকায়।
তবে বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিদের কঠোর অবস্থানের কারণে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে বিএসএফ।