ফেনীতে অপারেশন ডেভিল হান্টে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে ডেভিল হান্টসহ অন্যান্য অভিযানে গত ১৫ দিনে জেলায় ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার রাতে ফেনী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত ১৫ দিনে বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের বিভিন্ন মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া। তাকেও আন্দোলনে মহিপালে ছাত্র-জনতা হত্যার দুটি মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুর থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন— দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের সত্যপুর গ্রামের মো. কামাল উদ্দিন মাস্টার (৪৬), ফেনী পৌরসভার বারাহিপুর এলাকার মো. আবুল হাসেম (৫৩), সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩২), বালিগাঁও ইউনিয়নের বেতাগাঁও গ্রামের মো. হাসান শরীফ (৩৩), ফাজিলপুর ইউনিয়নের মধ্যম শিবপুর গ্রামের আবুল কাশেম (৫৪), বালিগাঁও ইউনিয়নের কাতালিয়া গ্রামের আরাফাত হোসেন ইমন (২২) ও পরশুরাম উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আলী হোসেন তপন।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় করা বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নোবেল চাকমা বলেন, ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।