ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ ও তার গাড়িচালক আক্তার হোসেনের লাশ দাফনের ৫ মাস ১০ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত জহিরুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা শহিদুল ইসলাম হিরণের জেলা শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসা ঘেরাও করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে হিরণ দগ্ধ হয়ে মারা যান। একই সময় হিরণের গাড়িচালক আক্তারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই সময় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করানো সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ১৭ ও ২০ নভেম্বর আদালতে অজ্ঞাতনামা ২-৩শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. রুমানা আফরোজ অভিযোগ আমলে নিয়ে সদর থানায় এজাহার নেওয়ার আদেশ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের একজন ডাক্তার, জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য।